হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: শান্তিবাদী সুন্নী নেতা ও বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা মুফতী আলাউদ্দিন জিহাদীর গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার অনতি বিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএর উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্থ ডাইভারসিটি প্লাজা চত্ত্বরে এক ‘প্রতিবাদ র্যালীর’ আয়োজন করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার বাদ আসর থেকে মাগবির পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ র্যালীর সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএ-র কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ হেলাল মাহমুদ ও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহমুদ আলী, সহ-সভাপতিবৃন্দ মাওলানা আনোয়ারুল হক কাদেরী, মুহাম্মদ নাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদ্বয় মুহাম্মদ ওমর ফারুক ও মুহাম্মদ দিদার ও নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনের মধ্যে শামসুল আলম মিয়া, মীর মশিউর রহমান, মুহাম্মদ নাজিম, জয়নাল আবেদীন, আতাউর রহমান আতা, এম এ মালেক, মুহাম্মদ কাদের, খোকন মোহাম্মদ আশরাফ, মুহাম্মদ হানিফ, আবুল কালাম, জামাত আলী শেখ, মুহাম্মদ আলী, মাহফুজুর রহমান প্রমূখ।
বক্তাগণ আল্লামা মুফতী আলাউদ্দীন জিহাদীর আকস্মিক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারকে অনতি বিলম্বে তাকে নিশর্তে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। বক্তাগণ আলাউদ্দীন জিহাদীর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসের ভূল স্বাীকার ও ক্ষমা প্রার্থনার পরও একজন আলেমে দ্বীনকে গ্রেফতার ও তাকে রিমান্ডে নেওয়া একপেশে সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে বক্তগণ বলেন, কেউ কোন অপরাধ করলেও তাকে আইনের আওতায় বিচার করা উচিত। তবে কোন গোষ্টি মহলকে খুশী করার জন্য অথবা বিরোধী মতের পক্ষারলম্বণ করে মুফতী আলাউদ্দীন জিহাদীর গ্রেফতার ও রিমান্ড ন্যাক্ককারজনক। আমরা সরকারকে বলতে চাই আপনারা দেশের সকল মানুষের সরকার। আপনাদের স্মরণ রাখা দরকার যে কওমী নামধারী খারেজী দেওবন্দী শিক্ষাব্যবস্থা থেকেই উগ্রপন্থী তালেবান তৈরী হয়ে উপমহাদেশকে তছনছ করে ঢাকার রাজপথে ৯০ এর দশকে দাম্ভিকতার সাথে কারা শ্লোগান দিয়েছিল ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালিবান’ তখন তাদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাতপন্থীরাই ধর্মীয়ভাবে সংগ্রাম করেছিল। কুখ্যাত শাপলা চত্ত্বরে যারা সরকার পতনের ডাকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছিল এই কওমী নামক খারেজী দেওবন্দী গোষ্টি। প্রতিবাদ র্যালীতে সরকারকে দেওবন্দী শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শান্তিবাদী মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিষ্ঠারও দাবী জানান। বক্তাগণ বলেন, কাওমী দেওবন্দীদেরকে পরীক্ষা ছাড়া সরকারী সনদ দেয়া রাষ্ট্রের নিজস্ব আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা যা রাষ্ট্রবিরোধী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী। এহেন সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে বক্তাগণ বলেন, যে কোন শিক্ষা মাধ্যমকেই একই স্কুল ও একই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আত্ততায় আনয়নই রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। যদি কওমী দেওবন্দীরা রাষ্ট্রের সিলেবাস পদ্ধতি ও পরীক্ষাব্যবস্থা না মানে, তারা তাদের মত রাষ্টীয়্র নিয়ন্ত্রণহীন থাকুক। রাষ্ট্র কেন আগ বেড়ে দেওবন্দীদেরকে ¯স্বীকৃতি দেবে যা রাষ্ট্রের ব্যবস্থাকে তথা রাষ্ট্রকে ধাপে ধাপে অকার্যকর করবে। এর জলন্ত প্রমাণ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালিবান উত্থান ও ধ্বংসযজ্ঞ। প্রতিবাদ র্যালীতে বক্তাগণ আহলে সুন্নাতের সকল দরবার মসলক ও দলকে মুফতী আলাউদ্দীন জিহাদীর মুক্তির লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। মহান প্রিয়নবীর প্রতি স্বশ্রদ্ধ সালাতু সালাম জানিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে প্রতিবাদ র্যালী সমাপ্ত হয়।