শাহাবউদ্দিন আহমেদ, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া: মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মালয়েশিয়া এনটিভি দর্শক ফোরাম ও বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়া (বিএসইউএম) এর উদ্যোগে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, কুয়ালালামপুরে উদযাপিত হয় ভাষা দিবস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬ টায়। শুরুতেই অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে মহান ভাষা শহীদদের সম্মানার্থে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সেই সাথে আয়োজন করা হয় কোমলতি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা যা অনুষ্ঠিত হয় সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট হতে ৭ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। চিত্রাঙ্কন ছিল ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে।
জাইমা জাহিন নিধি ও মাহমুদুর রহমান জিসান এর অনুষ্ঠান পরিচালনায় এনটিভি মালয়েশিয়া প্রতিনিধি কায়সার হামিদ হান্নান ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (বিএসইউএম ) সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্ববধ্যায়নে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিঞ্চিপাল শাহাজান আলম সাজু, সচিব, শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট, ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী নেছারুল হক, উপদেষ্টা, সাইফ পাওয়ার টেকনিক্যাল নিমিটেড, পাওয়ার সেক্টর, বাংলাদেশ, মোসাম্মাৎ শাহানাজ বেগম লাভলী, চেয়ারম্যান, চাঁদ পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, রংপুর, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক তোয়াব, সাংবাদিক ও ইভেন্ট অর্গানাইজার্, সিঙ্গার এসএম সজিবুল ইসলাম, মাশা ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ডক্টর আবুল বাসার, কুয়ালালামপুর রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এজিএসএ ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, মাহবুব আলম শাহ,মোশারফ হোসেন, এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন নিপু, রাশেদ বাদল, নাজমুল ইসলাম বাবুল সহ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীদের বিশেষ পুরস্কারসহ সবাইকে সৌজন্য উপহার দেয়া হয়। সর্বশেষে দেশাত্মবোধক ও ভাষা দিবস নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য হতে এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও আবৃত্তিকারদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়। অনুষ্ঠানে দল মত নির্বিশেষে গণ্যমান্য জাতীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আগত দর্শকেরা তাদের আবেগাপ্লুত অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বিদেশের মাটিতে দেশীয় ভাষা, সংস্কৃতি বিকাশ ও বিদেশের মাটিতে একখণ্ড বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, সারা বিশ্ব এখন একযোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। আমরা বাংলাদেশি হিসেবে সত্যিই গর্বিত। পৃথিবীর কোনো জাতি ভাষার জন্য রাজপথে তাজা রক্ত ঝরায়নি। একমাত্র বাঙ্গালী জাতিই ভাষার জন্য রাজপথে তাজা রক্ত ঝরিয়েছে। সেই শহীদের স্মরণে আজ আমরা বিদেশের মাটিতে এই প্রোগ্রামটি করতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাষা দিবসকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার প্রয়াস চালাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আগত দর্শকদের অনুভূতি দেখে বুঝা যায়- এ ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমরা বারবার এমন আয়োজন করতে চাই।