মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম: মালেশিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রোকে মারা যায় আরাফাত। সংবাদটি আসার সাথে সাথেই সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। বাবা-মার সংসারে একটি পুত্র সন্তানের আশায় চারটি কন্যা সন্তান প্রসবের পর একটি পুত্র সন্তান পেয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বাবা ফসিউল আলম ও তাঁর গর্ভধারিনী মা।
ছেলেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করিয়ে পরিবারকে সুখে স্বাচ্ছন্দে গড়ে তুলবার আশায় গত তিন বছর পূর্বে মালেশিয়ায় পাঠিয়েছিল বাবা মা। আশা ছিল এ ছেলেটি একদিন সুখের সাগরে ভাঁসাবে তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিধিবাম! এ সুখ বাবা মা বোনদের কপালে বেশি দিন সইলো না। মাত্র ২২ বছর বয়সে স্ট্রোক করে বাবা মা বোনদের সকল আশা আকাংখাকে পূর্ণতা দিতে পারেনি আরাফাত।
খুবই ভালো ছেলে ছিল আরাফাত। নম্র,ভদ্র, বিনয়ী স্বভাবের ছিল আরাফাত। তাঁর অকাল মৃত্যুতে গুলিয়াখালী জুড়ে চলছে শোকের মাতম। মা- বাবা বার বার অজ্ঞান হয়ে মূর্চ্ছা যাচ্ছেন। কিভাবে কাটবে তাদের আগামী, কে জুড়াবে বাবা মার কলিজার বেদনা?
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জুন সকাল ১১ টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা আরাফাতের মরদেহ।