প্রবাস মেলা ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসীদের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও নাইট ক্লাবে অভিযান জোরদার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। এসব অভিযোগে ৮ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৪১ জনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১২ জানুয়ারি) গভীর রাতে মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ স্থানীয় নাগরিকও রয়েছেন।
অভিযানে দেশটির ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশন, পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার্স, স্পেশাল ট্যাকটিকাল টিম, জহুর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট, কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি, পেরাক ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এবং পার্লিস ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন। গত ১ মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ৫২ জন চীনা, ৪১ জন ভিয়েতনামি, ২১ জন থাইল্যান্ডের, ৩ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১ জন লাওসের, ৪ জন মিয়ানমারের, পরিচয়পত্রহীন ১ জন এবং স্থানীয় ১০ জন নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার, বিদেশি মহিলারা গ্রাহকদের যৌন পরিষেবা দেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ করেছে।
এছাড়াও অভিযানে বেশ কিছু কনডম, পতিতাবৃত্তির বিভিন্ন নথিপত্র, ভবনের চাবি, যৌন সরঞ্জাম, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, নগদ ১৪ হাজার ১৫৫ রিঙ্গিত, ১২টি মোবাইল ফোন, টাইম রেকর্ডার কার্ড, তোয়ালে এবং সার্কিট ক্যামেরা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রুলস ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করা সন্দেহে বিদেশি নাগরিকদের আটক করা হয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মালয়েশিয়ার পেরাকের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫৬(১)(ঘ) ধারায় অপরাধের সন্দেহে মালয়েশিয়ার ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী নাগরিককে আটক করা হয়।