রফিক আহমদ খান, কুয়ালামপুর, মালয়েশিয়া: কুয়ালালামপুরে ১৫ ও ২১ আগস্ট স্বরণে আলোচনা সভা করেছে মালয়েশিয়ায় আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে কুয়ালালামপুরের গ্র্যান্ড প্যাসিফিক হোটেলের হলরুমে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অহিদুর রহমান অহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ান নাগরিক দাতুক মোহাম্মদ ফোয়াদ বিন তালিব, সাধারণ সম্পাদক মালয়েশিয়া ক্রাইম প্রিভেনশন ফাউন্ডেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার উইং এর প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল ও সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম খোকন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ও প্রকৌশলী রাহাদ উজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ বাদল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন সর্দার, সাবেক আওয়ামী যুবলীগ আহ্বায়ক এ কামাল হোসেন চৌধুরী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, আলমগীর হুসাইন, হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন কবির আমির, অ্যাডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন মিরান, শওকত হোসেন তিনু, শাখাওয়াত হোসেন শওকত, আব্দুল বাতেন, পেরাক ইপুহ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবউল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, ক্লাং শাখার সভাপতি সোহাগ হোসেন, রাওয়াং শাখার সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির, পুচং শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেন, সুংগাইবুলুর সভাপতি ওসমান গনি, পিজে শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, পাংসাপুরি শাখার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, বানতিং শাখার সাজ্জাদ হোসেন, বাতুকেভ শাখার বজলুর রহমান, বুকিতবিনতাং শাখার সভাপতি লাল্টু বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা বাবলা মজুমদার, আশফাকুল ইসলাম সোহেল, সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দীন সেলিম,ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এস কে আরমান, আবুল কাসেম শাহিন প্রমূখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “দেশ স্বাধীনতার পরে ৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে উন্নত বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন, শিক্ষা হবে কর্মমুখী, বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা কেমন হবে, সেচ ব্যবস্থা, শিল্পায়ন কেমন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি তিনি তাঁর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের। কিন্তু, আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারি নি। বঙ্গবন্ধুর দেখিয়ে দেওয়া পথে শুরু থেকে হাঁটলে বাংলাদেশ আরো অনেক আগে উন্নতি লাভ করতো।
“এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের এই চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের দায়িত্ব। “
বিদেশে প্রবাসীদের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ” বিদেশে আমাদের চলাফেরা-আচার-আচরণে আমরা প্রমাণ করব, ‘আমরা ভালো’, ‘আমরাই সেরা’। কারণ, ‘বিদেশে আমি-আমরাই বাংলাদেশ’।
সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য এবং ১৫ ও ২১ আগস্ট নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।