মনির হোসেন, মালে, মালদ্বীপ প্রতিনিধি: মালদ্বীপের বন্ধুত্ব সেতু মালদ্বীপ ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন ও দৃঢ় সম্পর্ককে চিহ্নিত করে। এটা সর্বদা তাদের জন্য একটি অনুস্মারক হবে যে আনুগত্য এবং বন্ধুত্ব। ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার একটি অত্যাশ্চর্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর দ্বীপে রাজধানীকে সংযোগকারী ল্যান্ডমার্ক ওভার ব্রীজ উদ্বোধন করার জন্য রাতে আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও চীন সরকারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বর্তমান সরকার দলীয় সকল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ৷ মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল কাইয়ুম চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীন সরকার যদি সহযোগীতা না করত তাহলে হয়তোবা এত বড় প্রজেক্ট এর কাজটি করা সম্ভব হতো না সেজন্য তিনি চীনা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মালদ্বীপের সরকার ও এদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা তারা তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর ও শান্তি প্রিয় সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলছে এবং তারা অনেকাংশেই আজকে সফল। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ চায়নার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে এবং তাদের দুটি দেশের বন্ধুত্বের ফলক স্বরূপ ধীরে ধীরে বিশাল সমুদ্রের বুক ছেদ করে গড়ে উঠছে মালদ্বীপের রাজধানী মালের সাথে মালদ্বীপের এয়ারপোর্টের সংযোগ সেতু। চীন ও মালদ্বীপের বন্ধুত্বের এই সেতুটি গড়ে তুলেন তাই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে চীনামালে ৷ ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১.৩৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থ বিস্তৃত হবে ২০ মিটার ৷ মালদ্বীপে প্রথমবারের মত এই সেতু। আশা করা যায় এই সংযোগ সেতুটি হওয়ায় অন্যান্য উন্নত দেশ গুলোর মতো মালদ্বীপের অবস্থার আরো উন্নতি হবে । মালদ্বীপের রাজধানী মালে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাউন্ড এরিয়া, এতে কয়েক লক্ষ মানুষ বসবাস করে, তাই অনেক চলাচল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এখন সেতুটি হওয়াতে মালদ্বীপের রাজধানী মালে, এয়ারপোর্ট ও হুলোমালে নিয়ে মালদ্বীপ সিটিটি অনেক বড় রূপান্তরিত হয়েছে ৷