প্রবাস মেলা ডেস্ক: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রাজধানী মালের মেয়র মোহামেদ মুইজ্জু। ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির বিরোধী দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব দ্য মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী মুইজ্জু নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রানঅফ নির্বাচনে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে হারিয়েছেন। সোলিহ পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ ভোট। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এতথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নির্বাচনে ব্যবহৃত ৫৬৮ ব্যালটের সবগুলোর ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মোহাম্মদ মুইজ্জো পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট। মোহাম্মদ মুইজ্জোর রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভি পার্টি অব দ্য মালদ্বীপ (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোট এর আগে ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের ক্ষমতায় ছিল। এদিকে নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই দলের কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিনের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন মুইজ্জু। পিপিএমের সদরে এক বিবৃতিতে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে এ দাবি জানান তিনি। দুর্নীতি মামলায় ১১ বছরের সাজা ভোগ করছেন আব্দুল্লা ইয়ামিন।
অন্যদিকে নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ। গত ৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম ধাপে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এ নির্বাচন রানঅফে গড়ায়। মোহাম্মদ মুইজ্জোকে ‘ভারত বিরোধী’ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তাহলে মালদ্বীপে মোতায়েনকৃত স্বল্পসংখ্যক ভারতীয় সেনাকে বের করে দেবেন এবং মালদ্বীপকে ভারতের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন। মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ হলো— দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে ভারতের যে প্রভাব রয়েছে সেটি কমে যাবে। অপরদিকে বাড়বে চীনের প্রভাব।