মনির হোসেন, মালে, মালদ্বীপ প্রতিনিধি: ১৫ আগস্ট ২০১৮ বুধবার মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ১৫ আগস্ট দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শোক দিবস পালন শুরু করা হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, তর্জমা ও দোয়া করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, স্টাফ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসে একটি বিশেষ “কমিউনিটি মেডিকেল সার্ভিস” প্রদান করা হয় যেখানে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী বিনামূল্যে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মালদ্বীপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর সি.এ. অডিটোরিয়ামে একটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করেন।
এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে মালদ্বীপস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্যের উপর একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ও বাঙ্গালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসিম ত্যাগ ও তিতিক্ষার উপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনা পর্বের পর বঙ্গবন্ধুর জীবনাচরিত বিশেষ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবীব পূর্বাহ্ণ ও সন্ধ্যা উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় মান্যবর রাষ্ট্রদূত, মহান নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গঠনে ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির উপরও আলোকপাত করেন।