প্রবাস মেলা ডেস্ক: রাতে পাক-ভারত মহারণ। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু’দল। প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বসী ভারত আর হেরে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তারপরও প্রতিবেশী দেশটার বিপক্ষে বরাবরের মতো মাঠে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে চায় বাবর আজমের দল।
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। দু’দেশের বৈরী সম্পর্কের মতো ২২ গজেও তার উত্তাপ। দ্বিপাক্ষিক সফর বন্ধ থাকায় পাক-ভারত লড়াই এখন আরও বেশি আকাঙ্ক্ষিত। বিশ্বকাপে বরাবরের মতো এবারও আগ্রহের কেন্দ্রে পাক-ভারত মহারণ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দেখা যোগ করছে বাড়তি মাত্রা।
আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করে ভারত। নাসাউ কাউন্টি এখন অনেকটাই চেনা টিম ইন্ডিয়ার। যা এগিয়ে দিচ্ছে, রোহিত শর্মাদের। নিউইয়র্কের উইকেট সবচেয়ে বড় ধাঁধাঁর নাম।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামতে পারে ম্যান ইন ব্লু। ফর্মে অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে বিরাট কোহলির জ্বলে ওঠার অপেক্ষা।
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলাই মূল লক্ষ্য। কন্ডিশন নিয়ে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে নিজেদের সব অবস্থায় প্রস্তুত রাখতে হবে। আমরা তিন ডিপার্টমেন্টেই সেরাটা দেয়ার চেষ্ট করব। পাকিস্তান তাদের সেরা ফর্মে নেই তবে, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো কিছু হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লজ্জাজনক হারের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। এমন শুরু ভাবতেও পারেনি বাবর আজমের দল। যদিও বিশ্বকাপের অনেক আগে থেকেই ধুঁকছিল ম্যান ইন গ্রিন। খুঁজে পাচ্ছিল না সেরা কম্বিনেশন।
চিন্তার বড় কারণ ব্যাটিং। ওপেনিংয়ে ঘুরেফিরে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের উপর বিশ্বাস রাখতে হচ্ছে। আজম খান পুরোপুরি ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে তাকে নাও রাখা হতে পারে একাদশে। ইনজুরি কাটিয়ে ইমাদ ওয়াসিমের ফেরাও নিশ্চিত না।
পাকিস্তান কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেন, আমি ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি। এটা ভারত-পাকিস্তান লড়াই, ক্রিকেটারদের আমার অনুপ্রাণিত করার কিছু নেই। তারা জানে কি করতে হবে।
হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখাতে পারে পাকিস্তানের পেস অ্যাটাক। ভারতীয়দের কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেন আমির, শাহিন, নাসিমরা। পিচও পেসারদের পক্ষে কথা বলছে।
টস জিতে ফিল্ডিং নিতে চাইবেন দুই অধিনায়ক। নাসাউয়ের বোলিং সহায়ক উইকেটে ব্যাটিংটাই গড়ে দিতে পারে ব্যবধান। এ ফরম্যাটে শেষ ৫ দেখায় তিন জয়ে এগিয়ে রোহিত শর্মার দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সাতবার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এসব ম্যাচের ৫টিতেই জয় ভারতের, একটিতে পাকিস্তান, বাকি একটি হয়েছে ড্র।
২০০৭ সালে উদ্বোধনী আসরে দু’দলের প্রথম ম্যাচটি ড্র হলেও পরে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়েই শিরোপা জিতে ভারত। এরপর ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের আসরেও জয় পেয়েছে ভারতই। পাকিস্তানের একমাত্র জয়টি এসেছিল ২০২১ সালে। সেবার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে ভারত জিতে নিয়েছিল ম্যাচটি। সেই জয়ের ধারা ভারত এবারও ধরে রাখবে নাকি পাকিস্তান নিজেদের জয়ের সংখ্যাটা আরেকটু এগিয়ে নিবে তাই দেখার অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটপ্রেমীরা।