হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রথম বার্ষিক বাজেটের প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। এই বাজেটের অর্থমূল্য ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। বাজেটে ধনী আমেরিকানদের কাছ থেকে ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে।
তবে এই বাজেট প্রস্তাব পাশ করতে কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার। রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম একে ‘মারাত্মক ব্যয়বহুল’ বলে অভিহিত করেছেন। বাইডেনের প্রস্তাব অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আর্থিক অসমতা দূর করতে চলতি সালের শেষার্ধেই অধিক বেতনের এবং অধিক আয়ের ব্যবসায়ীগণের ট্যাক্সের পরিমাণ ৩৭% থেকে ৩৯.৬% হবে। উল্লেখ্য, উচ্চ আয়ের কর্মকর্তা এবং বিত্তশালীগণের ট্যাক্সের পরিমাণ ডোনাল্ড ট্রাম্প কমিয়ে দিয়েছিলেন। এরফলে জো বাইডেনের প্রতি ধনীরা ইতিমধ্যেই অসন্তোষের তীর ছুড়ে দিয়েছেন।
এরফলে ফেডারেল তহবিল ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতা তৈরি হয়েছে, যা ২০৩১ সালের মধ্যে ৮.২ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। একইসাথে সামনের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠবে।
কানসাসের সিনেটর জেরি মোরান বলেন যে আগামী প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেয়ার জন্য এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বিপুল অর্থ সংগ্রহে এই পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই বলেও অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিকরা মন্তব্য করেছেন।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক বাইডেনের এই প্রস্তাবে কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে:
১) এতে আছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ৮০০ বিলিয়নেরও বেশি ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব।
২) তিন থেকে চার বছরের শিশুদের প্রি-স্কুল প্রোগ্রামের জন্য ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব।
৩) দুই বছরের জন্য সকল আমেরিকানদের জন্য বিনা বেতনে কমিউনিটি কলেজ সুবিধা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ বিলিয়ন ডলার।
৪) পারিবারিক এবং চিকিৎসাজনিত ছুটির কারণে ব্যয়ের প্রস্তাব ধরা হয়েছে ২২৫ বিলিয়ন ডলার।
৫) রাস্তাঘাট ও সেতুর জন্য ১১৫ বিলিয়ন ডলার, জনসাধারণের যাতায়াত ও রেল সুবিধার জন্য ১৬০ বিলিয়ন ডলার।
৬) প্রতিটি বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধার জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার।