শিবব্রত গুহ, কোলকাতা, ভারত থেকে: মারাদোনা নামটা মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফুটবল স্কিলের বিচ্ছুরণ, অসাধারণ ড্রিবলিং, জেতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, গোলের ঠিকানা লেখা ফাইনাল পাস, সারা মাঠ জুড়ে অবাধ বিচরণ ও একার হাতে ম্যাচের পর ম্যাচ জেতানোর অসামান্য দক্ষতার কথা।
১৯৮৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মধুর স্মৃতিগুলো কি কখনো ভোলা যায়? না ভোলা সম্ভব? সেই বিশ্বকাপে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা সেই দ্বিতীয় গোলটির কথা মনে পড়লে সারা শরীরে জায় শিহরণ জেগে। সেবার আর্জেন্টিনা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। তাতে মারাদোনার বিরাট ভূমিকা ছিল। ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপেও দেখা যায় মারাদোনার স্কিলের অবিশ্বাস্য সব ঝলকানি! যা দেখলে দুচোখ জুড়িয়ে যায়। সেবার প্রায় একক দক্ষতায় তিনি তাঁর দল আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁদেরকে সেবার রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।
সেই মারাদোনা আর বেঁচে নেই। সম্প্রতি ৬০ বছর বয়সে তিনি চলে গেছেন এই পৃথিবী ছেড়ে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা ফুটবল বিশ্ব।