প্রবাস মেলা ডেস্ক: ‘শ্যামা কাব্য’ সিনেমা মুক্তির মাত্র তিনদিনের মাথায় রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ। বসুন্ধরা শাখায় সিনেমাটির জন্য দেয়া হলের প্রোজেকশন সিস্টেমে ত্রুটি, সেল রিপোর্টে গড়মিলসহ কিছু সমস্যার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ নির্মাতা। রোববার (৫ মে) সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক সৌদ। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।
এ ব্যাপারে নির্মাতা সৌদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের এত প্রয়োজন নেই কাউকে। সবাই তো তাদের কাছেই ধর্ণা দেয়। আমার মনে হয় না অন্য কেউ তিনদিনের মাথায় নিজ দায়িত্বে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা তুলে নিয়েছে। এর কারণ, ওরা যে মানসিক নির্যাতন করে থাকে একজন নির্মাতা-প্রযোজককে, সেটা থেকে বের হয়োর চেষ্টা করেছি। এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, তারা সবসময় একটা খড়গ ঝুলিয়ে রাখে। স্টার সিনেপ্লেক্সের মূল কর্তৃপক্ষের কথা বলছি না আমি। তারা সম্ভবত এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আমি হল কর্মকর্তাদের কথা বলছি। এ কর্মকর্তাদের পরিচালক-প্রযোজকদের প্রতি ব্যবহার এমন―আপনাদের দয়া করছি আমরা। এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া সম্ভব না এবং উচিতও না। সবারই নিজস্ব সম্মানবোধ রয়েছে। অসম্মানটা আমার প্রাপ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সিনেমা ভালো না চললে নামিয়ে দেয়া হবে, এমন কথা বারবার মনে করিয়ে দেয়া হবে। হতেই পারে আমার সিনেমা দর্শকপ্রিয় হয়নি। তাই বলে প্রতিদিন আপনাকে কেউ বলবে, সিনেমা না চললে নামিয়ে দেব কিন্তু। আরে বাবা! আমি তো এটা জানি, সিনেমা না চললে নামিয়ে দেবেন আপনি। আমাকে প্রতিদিন মনে করানো কী আছে আপনার। সিনেমাটি প্রচারের চেষ্টা করব এবং তা করছিও আমি। আর এ ধরনের সিনেমা প্রথম দিনই যে দর্শক টানবে, এমন না। মুখের কথায় এ ধরনের প্রচারণা বাড়ে বা আপনাদের (সংবাদমাধ্যম) মাধ্যমেও বাড়ে।
এদিকে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখার তিন নম্বর হলের প্রোজেকশন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সৌদ ও তার টিমের সদস্যরা। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কটাক্ষও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ নির্মাতার মতে, আমার সিনেমায় তো বিশাল বড় কোনো তারকা নেই শাকিব খানের মতো। সে তো নিজেই ব্র্যান্ড। তার নামেই দর্শক আসে। যে হল নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, সেখান থেকে সরিয়ে এক নম্বর হলে দিয়েছিল, সেটির প্রোজেকশন কোয়ালিটি অনেক ভালো। কিন্তু গতকাল আমাকে তারা শুনিয়েছে, ওই হলে শাকিব খানের (রাজকুমার) সিনেমা চালিয়েছে তারা। সেখানে অনেক দর্শক সিনেমা দেখেছে। ওই হলে অনেক দর্শক মানে এমনটা নয় যে তাদের প্রোজেকশন কোয়ালিটি ঠিক হয়েছে। সেখানে অনেক দর্শক, কারণ শাকিব খান অনেক বড় সুপারস্টার। তার সিনেমা দেখার জন্য যেকোনো ধরনের প্রোজেকশন মেনে নেয় দর্শকরা। আর এটাও সত্য, প্রোজেকশন কোয়ালিটির উন্নতি হয়নি। দর্শকের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমার প্রতি এটাও একধরনের মানসিক নির্যাতন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় সিনেমাটি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, ইন্তেখাব দিনার ও নীলাঞ্জনা নীলা।