মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন কুয়েত: ২০ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মঙ্গলবার রাতে কুয়েত ভিত্তিক মানব পাচারের রিং লিডার সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে। এএইচ ওরফে সিরাজউদ্দিন বলে চিহ্নিত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা থেকে আটক করা হয়।
কুয়েতি পত্রিকা আল রাই জানিয়েছে, কুয়েতির গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনদের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার পরে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশি সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, চার সন্দেহভাজন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষকে কুয়েতে পাঠাচ্ছিল এবং এইসকল আসামীকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে।
এইএএচের নেতৃত্বে থাকা এই দলটি ৯০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে কুয়েতে প্রেরণ করেছে এবং তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বাংলাদেশি ৬ লক্ষ টাকা (প্রায় ২,২০০ কুয়েতি দিনার) বা আরও বেশি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কুয়েতে পৌঁছার পরে এইসব বাংলাদেশিরা বুঝতে পেরেছিল যে, তাদের দেওয়া ভালো চাকরি এবং উচ্চ বেতনের সমস্ত প্রতিশ্রুতি নিছক স্বপ্ন ছিলো। তারা আশ্রয় বা খাবারের জন্য কুয়েতে ছাদ ছাড়াই থাকতে-বাঁচতে বাধ্য হয়েছিল সিআইডি সূত্র জানিয়েছে।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এইএইচ এবং তার সহযোগিরা কুয়েতে মানব পাচারকারীদের সহায়তায় কুয়েত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভুয়া ভিসা পেয়েছিল।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিআইডি শাখা) জিশান উল হক বলেছেন, কুয়েতের একটি আদালত এএইচ সহ তিন বাংলাদেশি মানব পাচারকারীকে তিন বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে।
তাদের অর্থ জরিমানা করা হয়েছিল, তবে কোনভাবে এই তিনজন কুয়েত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
এই উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যিনি এই গ্যাংয়ের রিং লিডার ছিলেন, তিনি বর্তমানে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশি সিআইডি কুয়েতির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু করে এবং মঙ্গলবার রাতে এএইচকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।