প্রবাস মেলা ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোয় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বাড়ছে। আফ্রিকার বাইরে বিশ্বের কমপক্ষে ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে রোগটি। এসব দেশে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে পাওয়া যায়। ১৯৭০ সালে প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এ রোগ সম্প্রতি আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। আফ্রিকা ভ্রমণ করেননি এমন অনেকের এ রোগ শনাক্ত হচ্ছে।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী প্রথম পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে। এরপর ইউরোপের স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে এ রোগ শনাক্ত হয়।
এদিকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে গবেষণা জোরদার করেছে ধনী দেশগুলো। এ গবেষণার সুফল যেন নিম্ন আয়ের দেশগুলোও পেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।
মাঙ্কিপক্স নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মহাপরিচালক ইফেদায়ো অ্যাডেটিফা বলেন, নাইজেরিয়ায় ২০১৭ সাল থেকে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব চলছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৬০০ সন্দেহভাজন এবং প্রায় ২৫০ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় এটি মোকাবিলায় শনাক্তকরণ পদ্ধতি ও টিকা সরবরাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো।
এর আগে গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রাণী ও মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে।
এতে একসময় নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা রোগজীবাণু আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এছাড়া অনেক রোগ মানুষ ও সংবেদনশীল প্রাণী প্রজাতির মধ্যে ফিরে আসছে।
মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার জ্বর, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও গুটিবসন্তের মতো ফোসকা পড়া। ভাইরাসটি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। তবে গুটিবসন্ত রোধে যে টিকা ব্যবহার হয়ে থাকে, সেগুলো মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।