কামাল পারভেজ অভি, মক্কা, সৌদিআরব প্রতিনিধি: সৌদিআরবের মক্কায় হজ পালনে আসা বাংলাদেশি হাজিদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্ন করতে হজে যাওয়া বাংলাদেশি হাজিদের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কিছু বেসরকারি হজ এজেন্সির অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে হাজিরা হচ্ছে প্রতারিত।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মা আম্বিয়া ও এম তাইব্যা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ পালনে আসা ৪১৬ জন হাজি এজেন্সির অসহযোগিতায় এবং অবহেলায় মক্কায় মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। তবে মক্কা বাংলাদেশ হজ মিশনের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৫৬ টি বেসরকারি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজিরা হজ পালনে আসার আগে হজযাত্রীদের ভিসা বুকিং দেয়ার সময় এজেন্সির মালিকরা কাবা ঘরের কাছে রাখার সু- ব্যবস্থা, হাজিদের জন্য গাইড সহ মানসম্মত খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি দিলে ও মক্কায় পৌঁছার পর দেখা যায় তাদের ভিন্ন চিত্র।
কাবা ঘর থেকে ৫ কিলো মিটার দূরে হোটেলে রাখার আশ্বাস দিলেও এখানে পৌঁছার পর তাদের রাখা হয় ১০ কিলো মিটার দুরে। এদিকে খবর পেয়ে গতকাল বুধবার জাহারা হোটেলে প্রবাস মেলা’র মক্কা প্রতিনিধি সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে সেখানে দেখা যায় প্রতিটি রুমে তিন জন থাকার কথা থাকলেও তা নিয়ম ভঙ্গ করে গাধাগাধি রাখা হচ্ছে ৫/৬ জনকে। তবে প্রতিদিন খাওয়ার পানির সমস্যা সহ নিম্ন মানের খাবার দেয়া হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী বাংলাদেশি হাজিরা।
এ ব্যাপারে মক্কার হজ কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান প্রবাস মেলা কে বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৬ টি বেসরকারি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। একইভাবে হজ মিশন থেকে সরকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এটা তদন্ত করানো হচ্ছে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ দিকে ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ৫৫ ফিরতি হজ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯,৮৪০ জন হজযাত্রী দেশে পৌঁছেছেন। হজ পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ বাংলাদেশি ইন্তেকাল করেছেন।