প্রবাস মেলা ডেস্ক: ভারতে আফগানিস্তান দূতাবাস আজ থেকে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ভারত সরকারের সমর্থনের অভাব, আফগানিস্তানের স্বার্থে প্রত্যাশা পূরণে অক্ষমতা এবং কর্মী ও সম্পদের ঘাটতির কারণে আফগানিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার আফগানিস্তান দূতাবাস ঘোষণায় আরও উল্লেখ করেছে, আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের কথা বিবেচনা করে সতর্কতার সাথে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি গভীর দুঃখের, অনুশোচনা এবং হতাশার হলেও ভারতের নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তান তার দূতাবাস কার্যক্রম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসের নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে। ফরিদ মামুন্দজে আশরাফ ঘানি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ছিলেন এবং তালেবান বাহিনী কর্তৃক আফগানিস্তানের দখল নেয়ার পরও ২০২১ সালের আগস্টে তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পিছনে দূতাবাস কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। প্রথম কারণ হিসেবে তারা বলছে, আফগানিস্তানে পরিকল্পনা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে বাধা দেয়া। তারা অভিযোগ তুলেছে, ভারত সরকার তাদের অপরিহার্য সহায়তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে , ভারতে কূটনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং কাবুলে একটি বৈধ কার্যকরী সরকারের অনুপস্থিতির কারণে আফগানিস্তান এবং এর নাগরিকদের সর্বোত্তম স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয়তা পূরণে আমরা আমাদের ত্রুটিগুলো স্বীকার করি। দূতাবাস দাবি করেছে, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে দূতাবাসের কর্মী এবং সংস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দূতাবাসের পরিচালনা চালিয়ে যাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে গেছে।
ভারত এখনও আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন এবং কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আফগান মাটি ব্যবহার রোধ করার দাবি জানিয়েছে। দিল্লিতে আফগান দূতাবাস ২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে ক্ষমতার লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছিল, যখন তালেবানরা বর্তমান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তবে, দূতাবাস একটি বিবৃতি জারি করে জোর দিয়ে বলেছে যে, তাদের নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি।