রারজানা সুলতানা:
নীদকাহনের আকাশ ভরা তারার মেলায়,
গণকসীমার নক্ষত্রের রাতের বেলায়।
চাঁদের আলোয় চমকিত আনন্দে,
বিমোহিত করে তোলে রক্তঝরা অন্তরে।
স্বপনদুয়ার খুলে যায় মাইকেলের,
মেঘনাদ কাব্যের স্বর্গ রচিত অনুতাপের।
অসংখ্য তারার মাঝে শুকতারা,
ছিলে তুমি অষ্টরাশির নিখিলধারা।
জলের বোতল তবে খুলে কেন দিলে,
তৃষ্ণার মারণসম চিত্তের দোটানা সংশয়ে।
খসে পড়ে না কখনো যুগান্তরের গ্রহতারা,
স্থিরচিত্তে অস্তিত্ব লড়াইয়ে সে পাগলপারা।
প্রত্যাখ্যান অবহেলা আর অস্পৃশ্যতায়,
এক জীবনে নারীত্ব বিকাশের
শ্বেতকায়।
অবিচ্ছেদ্য অংশে না তো ছিল বিভাজনীয়,
জড়ানো ছিল তায় অধরে সৌরভ রমণীয়।
বসতি যতখানি মনোহরার মন গহিনে,
ভালোবেসেছিলে ততখানি আনমনে।
জাগরণেও ছিলাম স্বপ্নের বাসরে,
তবে কেনই বা রইলে দূরে সরে।
মন যৌবনে নারী-পুরুষের সমতার বাস,
হলো আজ সবই না পাওয়ার অভিলাষ।
ইচ্ছের ডানা ঝাপটায় আস্থার বিশ্বাসে,
কাছে পাওয়ার নিতম্বের মিথ্যে আশ্বাসে।
আমি না হয় ছিলাম একটু বাঁধনহারা,
তুমি তো নিশিরাতের উজ্জ্বল তারা।
তুমিই তুমি, হাসি আমি তাচ্ছিল্যের হাসি,
হার মেনেছে অনুশোচনায় বাঁশরিয়ার বাঁশি।
ভয়ের জগতে আত্মতুষ্টিই যার বসবাস,
সে কেন গড়ল ঐতিহ্যের এমন ইতিহাস।
প্রেমিকের আকুল দীর্ঘশ্বাস স্মরণে রেখ হায়,
অশ্রুমালা দূরে না নিয়ে আরও কাছে টেনে নেয়।
স্বপ্নঘরে তুমি ছিলে বাসরের ফুল,
ভুলে যাব- এ তোমার ভাবনার ভুল।