প্রবাস মেলা ডেস্ক: ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা। ১৫ আগস্ট কালরাতে ইতিহাসের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহিদ পরিবারের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বহুমাত্রিক ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় ও বর্ণিল জীবনের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে শোকাবহ আগস্টের তাৎপর্য স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের দাবি করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রাজনৈতিক আশ্রয়দান একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাষ্ট্রদূত ১৫ আগস্ট এর ঘাতকদের বিচার বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ শেখ কামাল এর নির্ভীক, বীরোচিত অংশগ্রহণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে দেশ গড়ার কাজে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। শহিদ শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবল জাগরণে শেখ কামালের অগ্রণী ভূমিকার কথা রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন। ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করে ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে একজন শিল্পানুরাগী এবং দক্ষ সংগঠক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও তারুণ্যের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মাঝে একটি জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে রাষ্ট্রদূত নতুন প্রজন্মকে আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রাথনা করা হয় ।