ফারুক আহাম্মেদ মোল্লা, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম: ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তারঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। এই দিনটিই জাতীয় জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার স্থানীয় সময় ৩ নভেম্বর সন্ধা ৪টায় ব্রাসেলসে বেলজিয়াম আওয়ামীলীগ এর আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি শহিদুল হক শহিদের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনায় করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন।
সভার শুরুতে জাতীয় চার নেতার সম্মানে এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনাকরে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা ড: ফারুক মির্জা, উপদেষ্টা খোকন শরিফ, সহ সভাপতি নিরঞ্জন রায়, যুগ্ম সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রাসেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফিরোজ আহামেদ বাবুল, বেলজিয়াম যুবলীগ সভাপতি খালেদ মিনহাজ, সদস্যা দিলরুবা বেগম মিলি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী এই জাতীয় চার নেতা মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও নীতির প্রশ্নে খুনী খন্দকার মুশতাক ও হত্যাকারীদের সাথে আপোস করেন নি। এই কারণে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন এই জাতীয় চার নেতা বাঙালির মাঝে অমর থাকবেন। নেতৃবৃন্দ জাতীয় চার নেতার আদর্শকে বুকে রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। “ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধেরচেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
আলোচনা সভা শেষ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা এবং দেশ ও জাতির কল্যানে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।