ফারুক আহাম্মেদ মোল্লা, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম: শীত আসে সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। এ সময় টাটকা চালে তৈরি করা হয়বাহারি পিঠা পুলি পিঠার সেই মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ঋতুর প্রথম ভাগ থেকে। এ গেল দেশ–প্রাণের কথা হরে কিংবাপ্রবাসেও নরনারীরাও এই আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না। তারা ছেলেমেয়ে বা প্রিয়জনদের সামনে আনেন মুখরোচক সব পিঠা।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বেলজিয়াম এন্টারপেন শহরে শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টায় পিঠা উৎসবেরআয়োজন করেন বেলজিয়াম-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের (বিবিএফসি) উদ্যোগে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রত্না খান তমা। প্রধান অতিথি ছিলেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত। বক্তব্য দেন আলী নূর শামিম , বাদল আহমেদ, হাফেজ আহমেদ মিঠু, গোলাম নবী শ্যাম, ত্রিপুরা শামিম, সুমিয়া,সাইদুর রহমান লিটন, ইবান কবির, সাদ্দাম হোসেন পাভেল, মাহাজন শহীদ, রুবেল নান্টু, শহীদুল ইসলাম (মাওলানা), মাসুম পারবেজ, হাবিব, বাবুল আহমেদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আগত অতিথিরা। বলেন, হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। খাদ্য রসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার।
আরও বলেন, শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিতহয় বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠেতখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে।
প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। কমিনিটির নেতাদের মতো এ ধরনের আয়োজন শুধু নতুনপ্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা নয়, ভিনদেশিদের কাছেও দেশেও সংস্কৃতি তুলে ধরা মানেই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তপন রায়, শারিফুল ইসলাম মঞ্জু, চয়ন রায়, হাবিবুল হাসান সোহাগ, জসিম উদ্দীন, প্রমুখ