প্রবাস মেলা ডেস্ক: বিজেপি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, ‘আমি তার জিম্মা নিয়ে বলছি। আমি যেটা বলছি, তা যদি মিথ্যা হয় তাহলে এই মাঠে আপনারা সবাই মিলে এসে থুথু ফেলবেন, আর সেই থুতুটা আমি চাটবো।’
পশ্চিমবঙ্গের ‘বর্ধমান পূর্ব’ লোকসভা কেন্দ্রের পর এবার মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণায় আবারো এমন মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিনের সভা ছিল কান্দির হোলিফক্স মাঠে। সেই সভা থেকে তার বার্তা ছিল ‘মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আমি বলছি, আপনারা বিশ্বাস করেন যে বিজেপি আপনাদের পছন্দ করে না। এটা ভুল। বিজেপি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়। আমি তার জিম্মা নিয়ে বলছি।’
‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন’ (সিএএ) ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে মিঠুন বলেন, ‘সিএএ নিয়ে ওরা (মমতা) কি বলছে? বলছে দেশ থেকে বার করে দেবে, তোমাদের নাগরিকত্ব চলে যাবে, তোমরা রেশন পাবে না, তোমরা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। তোমরা কখনো নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবে না।’ কিন্তু আমি বলব সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যারা নাগরিক নয় বা যাদের নাগরিকত্ব নেই, তাদের নাগরিক করার আইন হলো সিএএ। এটা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, এটা আমার জন্যও। আমি ভারতবাসী হলে আমাকে, তোমাকে, হিন্দু-খ্রিস্টান সকলকেই এটা জমা করতে হবে। আর উনি (মমতা ব্যানার্জি) এটাকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন।
একসময় তৃণমূল নেত্রীকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে মিঠুন বলেন, এইরকম মিথ্যে কথা আমার জীবনে আমি কোনোদিন শুনিনি। কথায় কথায় মিথ্যা কথা। উনি প্রতিবছর মিথ্যাবাদী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতবেন।
এসময় মিঠুন বলেন, চলুন একটা চ্যালেঞ্জ করছি। আমি যেটা বলছি সেটা যদি মিথ্যে হয় তবে, আপনারা সবাই মিলে এই ময়দানে থুথু ফেলবেন এবং আমি সেটা চাটবো। আমি এত বড় কথা বললাম। মিঠুনের ওই মন্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোটা দেশে সিএএ চালু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে বলা রয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা সংখ্যালঘুরাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে। যদিও এই আইনের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ এই আইনে কেউ আবেদন করলেই তারা বেনাগরিক হয়ে যাবে। তারা সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। তাদের ৫ বছরের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।