প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পাক্ষিক প্রবাস মেলা অফিস পরিদর্শন করেছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার সন্ধ্যায় প্রবাস মেলা’র মিডিয়াকর্মীদের সাথে তিনি চা-চক্রে অংশ নেন। এ সময় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী’র হাতে প্রবাস মেলা’র সৌজন্য কপি তুলে দেন পত্রিকাটির সম্পাদক শরিফ মুহম্মদ রাশেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তন্মধ্যে খোকসা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহঃ আনিস-উজ-জামান স্বপন, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয়তাবাদী তাতী দলের সাবেক সভাপতি বাবলু, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুকনুজ্জামান রাসেল, খোকসা থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ও নাহার প্লাজার স্বত্বাধিকারী শফিউল ইসলাম ছানা।
সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সূফী সাধক মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমীর বংশধর। ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া যুবদলের সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। ১৩ বছর যুবদলের দায়িত্ব পালন শেষে ১৬ বছর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী দুঃশ্বাসনের শাসনামলে পুরো সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ১৬ বছরেরর মধ্যে ৫ বছরের অধিক সময় তিনি কারান্তরীন ছিলেন।
সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে ভালোবেসে দলের নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময় জনগণের পাশে থেকেছেন। তিনি অত্যন্ত সৎ ও স্বজ্জন রাজনীতিবিদ। ১/১১ পরপর্তী সময়ে শত চেষ্টার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় নি।