প্রবাস মেলা ডেস্ক: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদের ছেলে সুলেমান দাউদের। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে রওনা দেয়ার কয়েক দিন আগে থেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। তবে শেষ পর্যন্ত বাবাকে খুশি করার জন্য টাইটানে চড়েছিলেন তিনি। ২২জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন সুলেমানের ফুফু আজমেহ দাউদ ।
শাহজাদা দাউদের বোন আজমেহ দাউদ বলেন, সুলেমান দাউদ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতে চাইছিল না। কিন্তু তার বাবা শাহজাদা টাইটানকে নিয়ে খুব বেশি উৎসাহী ছিলেন। আর বাবাকে খুশি করতেই সুলেমান টাইটানে চড়তে রাজি হয়।
আজমেহ এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে যে পুরো বিশ্বকে এত ট্রমা, এত সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখছি। তাদের শ্বাস নিতে কতটা কষ্ট হচ্ছিল তা উপলদ্ধি করতে পারছি।
১৮ জুন ২০২৩, রবিবার ওশানগেটের সাবমারসিবল ডুবোযান টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যায়। এর ঠিক পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটিকে খোঁজার সব রকমের চেষ্টা চালান মার্কিন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কানাডার কোস্টগার্ডের সদস্যরা। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর গতকাল সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান উদ্ধারকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। গতকাল ওশানগেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ দুর্ঘটনায় সাবমেরিনটির পাঁচ আরোহীই মারা গেছেন।
টাইটান সাবমেরিনে মোট পাঁচজন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান দাউদ।