রনি মোহাম্মদ, লিসবন ,পর্তুগাল প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় পর্তুগাল দূতাবাসে এক ‘’শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মরণসভা’’-র আয়োজন করা হয়।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।

বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সূচনা হয়। এর পর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। গণহত্যা দিবসের অলোচনা শুরুর আগে গণহত্যার ওপর নির্মিত ‘’একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর পর দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অংশ নিতে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানান।প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ দিবসটি সম্পর্কে পর্তুগীজদের অবহিত করার মাধ্যমে দিবসটি ‘’আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’’ হিসাবে স্বীকৃতির জন্য সারা বিশ্বে জনমত গড়ে তুলতে আহবান জানান।আলোচনা শেষে ২৫ মার্চের কাল রাতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, গণহত্যায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সবশেষে, এক মিনিটের জন্য সকল আলো নিভিয়ে ‘’নিষ্প্রদীপ কর্মসূচী’’ পালন করা হয়।