শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়েত: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হল রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাস্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোঃ আনিসুজ্জামানের পরিচালনায় সে সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মিলিটারী কনটিনজেন্ট বিএমসি কমান্ডার কুয়েতের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল মনসুর মোঃ আশরাফ খান, বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাফিজুল ইসলাম সহ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বিএমসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন যথাক্রমে সামরিক এটাচে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ সগীরুল ইসলাম, কাউন্সিলর পাসপোর্ট ও ভিসা জহিরুল ইসলাম খান, প্রসাশনিক কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ মিজানুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে শুরুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত করার পর আলোচনা সভাস্থলে প্রামান্য চিএপ্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পন, সকল শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা, কালো বেজ ধারন সহ দিবসের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
বক্তারা বলেন, আজ সারা বিশ্বে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয় এ জন্য প্রবাসীরা গর্বিত এবং বাংলাদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র কারীদের জায়গা হবে না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে মুজিব আদর্শের সকল প্রবাসরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলিম উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন বাদল, দীন ইসলাম মিন্টু, আব্দুল হাই মামুন, কবির হোসেন, শাহীন নজরুল সহ অনেকে।
সবশেষে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি হয়। দোয়া পরিচালনা করেন দূতাবাসের মোঃ ফরিদ।