মার্ক রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শুভ পুনরুত্থান এবং বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ কে স্বাগত জানাতে দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব উদযাপন করেছে বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটি ইউকে। ৫ মে রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১১:৩০ মিনিটে ফ্রান্স থেকে আগত ফাদার বার্নাড সরকারের খ্রিস্ট যাগ উৎসর্গের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু হয়।
সেন্ট এন্থনি প্রাইমারি স্কুলের মিলনায়তনে উক্ত বাংলা মিসায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, লন্ডনস্থ এবং লন্ডনের বাইরে বিভিন্ন শহর থেকে খ্রিস্ট ভক্তরা প্রার্থনা এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে উপস্থিত হন। দুপুরের আহারের পর জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের নির্বাচিত সভাপতি লেনার্ড রোজারিও। এরপর তিনি নব নির্বাচিত নতুন কমিটি সহ-সভাপতি- জুড মার্ক রোজারিও, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন কস্তা -সহ-সাধারণ সম্পাদক -রোমিও জেমস রোজারিও, কোষাধক্ষ্য- বিপ্লব হিউবার্ট গমেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক -জোসেফ গমেজ ,সাংস্কৃতিক ও যুব বিষয়ক সম্পাদিকা- মিসেস রিপা রোজারিও, শিক্ষা ও প্রকাশনা সম্পাদক- অনিক রিবেরু, ধর্মীয় সম্পাদক-বিপ্লব গমেজ, ক্রিড়া ও উৎসব সম্পাদক- বাবু রবার্ট কস্তা, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- উইলসন সরকার ,মনোনীত সদস্য- সবুজ থিওফিল রিবেরু ও নিউটন মিলনকে উপস্থিত সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।
এরপর যোসেফ গোমেজের উপস্থাপনায় আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের তুলুজ শহর থেকে আগত মার্ক রায় সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় গির্জার ফাদার টমাস, সেন্ট এন্থনি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকা এবং বিসিসি ইউকে এর উপদেষ্টা, মিসেস এঞ্জেলা মোর ,উপদেষ্টা পাষ্টার কাজল সরকার, মেজবাহ খান, সভাপতি , গ্রেটার ঢাকা এসোসিয়েশন ইউকে,পুষ্পিতা গুপ্ত, সভাপতি সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে, প্লাসিড মেন্ডেজ, প্রধান উপদেষ্টা বিপিসিএ রোম, ইতালি, পল সেতিয়ানসেন, শ্রীলঙ্কা কমিউনিটির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, ব্যারিষ্টার হোসেন শামসুজ্জোহা সহ অন্যান্যরা।
আলোচনা শেষে সংগঠনের সেক্রেটারি মিল্টন কস্তা এর উপস্থাপনায় শুরু হয় গীতি আলেখ্য ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী রিপা রোজারিও ও তার দল, মোহাম্মদ দ্বীপ এবং স্থানীয় স্কুলের বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের নাচ ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন স্যামুয়েল চৌধুরী,পাষ্টার কাজল সরকার, চন্দনা ডি কস্তা, নার্গিস রাহাত, রুপা দাস, মিতালী সরকার প্রমুখ। শেষে ইস্টার সানডের বিশেষ কীর্তন গান পরিবেশন মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।