প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ক্ষোভের কারণ হলো পশ্চিমবঙ্গকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার সরকারের মতামত বিবেচনায় নেয়া হয়নি। সোমবার (২৪ জুন) সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মমতার নাখোশ হওয়ার অন্যতম কারণ ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন। দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। তবে শেখ হাসিনার সফরের সময় এই চুক্তি নবায়ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দুই দেশই সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে এই চুক্তি নবয়ান নিয়ে আলোচনায় রাজ্য সরকারের মতামত বিবেচনায় নেয়া হয়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা।
তবে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, গত শনিবারই (২২ জুন) ফরাক্কা চুক্তির নবায়ন হয়ে গেছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে আপত্তি উত্থাপন করেছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। তাদের মূল অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে এই চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে এই চুক্তি নবায়নকে বাংলাকে ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, তৃণমূলের বক্তব্য হলো ফরাক্কা-গঙ্গা চুক্তিতে রাজ্য সরকারও পক্ষ। তবে নবায়নের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি, যা অত্যন্ত খারাপ।
১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে ভারতের একাধিক রাজ্য সরকারও শরিক। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কথা বলার সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টিও সামনে নিয়ে এসেছে মমতার তৃণমূল। খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরে দলটি বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রকে এটাও বুঝতে হবে, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে তিস্তার পানি বণ্টনের মতো চুক্তি থমকে থাকে। অনেকের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে ফরাক্কা চুক্তি নবায়ন করায় তিস্তা চুক্তি আরও পিছিয়ে গেল।