প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ তার অবস্থান আগেই জানিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটির সেই অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
সাংবাদিক মুশফিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের সরকার সব বিরোধীদের জেলে রেখে একতরফা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, যা ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে ‘হেফাজতে’ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন কি, না কি মহাসচিব গণতন্ত্রে ফিরে যেতে ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নেবেন? আপনি জানেন যে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ দেখতে জনগণ ইচ্ছুক।
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আগেও আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তবে, আংশিকভাবে আমি বলছি, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি; যেখানে জনগণ মুক্তভাবে ভয়হীন পরিবেশে তাদের ভোট দিতে পারবে। অবশ্যই নির্বাচনের পরে আমাদের কিছু বলার থাকবে, তবে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়।’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নাশকতার ঘটনা নিয়েও স্টিফেন ডুজারিকের কাছে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে একের পর এক যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক নারী, তিন বছরের এক শিশুসহ চারজনের প্রাণ গেছে। নির্বাচনের আগে এমন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অগ্নিসংযোগের শিকার ভুক্তভোগীদের নিয়ে কি জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন?
এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’