জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, কোলকাতা, ভারত প্রতিনিধি: রং জীবনকে রঙীন করে। জীবনকে লাল-নীল-সবুজের রামধনু স্বপ্ন দেখায়। বিচিত্র বর্ণে রাঙানো শরীর হাসিখুশির হুল্লোড়ে প্রাণবন্ত হয়। সম্প্রতি বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানস্থিত সুকুমার উদ্যানে তেমনি এক পলাশ শিমুল রঙে রাঙা বিচিত্রানুষ্ঠান সহযোগে রং খেলার এক অনবদ্য অনুষ্ঠান হয়ে গেল ২১ মার্চ ২০১৯। আয়োজন করেছিলেন রবীন্দ্রঅনুরাগী সংস্থা ‘বাঁকুড়া আলেখ্য টেগোর কালচারাল আকাদেমি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষমূর্তির পাদদেশে শান্তিনিকেতনী পরিবেশে এই অনন্য সুন্দর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন শহর ও জেলার বহু গুণীজন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যম এই মহতী অনুষ্ঠান সূচিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন সংস্থার সভাপতি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সংস্থার সম্পাদক ও বিশিষ্ট রবীন্দ্রপ্রেমী দেবাশিস মৌলিক। এই দুজন ছাড়াও অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন ডা: অমিতাভ চট্টরাজ, অধ্যাপক চন্ডীদাস মুখার্জি, বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌরপিতা দিলীপ আগরওয়াল, গান্ধী বিচার পরিষদের সচিব কল্যাণ রায়, বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক অরুণাভ মিত্র প্রমুখ বিশিষ্টজন। এদিনটি ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ থাকায় জেলা শহরের বহু কবি তাঁদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। চলে রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্র আবৃত্তি, লোকসঙ্গীত, নজরুলগীতি, দ্বিজেন্দ্রগীতি, রবীন্দ্র নৃত্য প্রভৃতি। চলে পরস্পরের মধ্যে রং আদান-প্রদান, ভাব বিনিময় ও মিষ্টিমুখ। এদিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানটি ছিল শ্রুতিনাটক। প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সায়ন্তনের আবহে শ্রুতিনাটক ‘বাতিল’ এ একক অভিনয় করে দর্শক শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়ে নেন বাচিকশিল্পী দেবাশিস মৌলিক। সমগ্র অনুষ্ঠানটির রূপদান করেন মনোজ কর্মকার। এমন একটি সাজানো চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠান দেখে উপস্থিত প্রত্যেক গুণীজন অনুষ্ঠানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।