ক.ম জামাল উদ্দীন, জেদ্দা, সৌদিআরব প্রতিনিধি: সৌদি আরবে কর্মরত নারী গৃহ কর্মী সুমি আকতার বর্তমানে সৌদির নাজরানে সেফ হোমে অবস্থান করছেন। তার পাসপোর্ট নং ইএ ০১৭৫৩১২।
সম্প্রতি সৌদি প্রবাসী সুমির ফেসবুক লাইভের এক ভিডিও ভাইরাল হয় । ভিডিওতে তিনি আহাজারি করে বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই, হায়নার দল আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে’। সুমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কি অপরাধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি বাঁচতে চাই, হায়নার দল আমাকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে।
ভিডিওটি বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার দৃষ্টিগোচর হলে, জেদ্দা কনস্যুলেট তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।
এ ব্যাপারে জেদ্দা কনস্যুলেট সূত্রে জানা গেছে, কনস্যুলেট তাকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু পূর্বক সৌদি আরবের গৃহ কর্মী সংক্রান্ত ওয়েব সাইট মুসানাত সিস্টেমের মাধ্যমে জানতে পারি যে, মহিলাটি রিয়াদের অধীক্ষেত্রে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আরো জানা যায় যে তিনি বর্তমানে সৌদির নাজরানে অবস্থান করছেন।
জেদ্দা কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে নাজরান অঞ্চলের পুলিশের প্রধানের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করার পর জেদ্দা কনস্যুলেটের প্রতিনিধিকে নাজরান প্রেরণ করা হলে তিনি সুমি এবং সুমির কফিল (স্পন্সর) সহ নাজরান পুলিশ প্রধানের কার্য্যালয়ে উপস্থিত করান।
বর্তমানে তিনি নাজরান পুলিশের হেফাজতে নাজরান সেইফ হোমে আছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান কফিল জানানিয়েছেন সুমিকে আনয়ন বাবদ তার ২২ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৪,৮৪০০০ বাংলাদেশি টাকা) খরচ হয়েছে। তার ব্যয় হওয়া টাকাগুলো পরিশোধ হলে সুমির এক্সিট সংক্রান্ত কাজ সমাপ্ত হলে সুমিকে দেশে ফেরৎ পাঠানো যাবে।
উল্লেখ্য, সৌদি প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিজের কফিল এক্সিট পেপার সংক্রান্ত পক্রিয়া সমাপ্ত করে না দিলে তাকে দেশে ফেরৎ পাঠানো যায় না।
তিনি আরো বলেন, এমতাবস্থায় সুমির কফিলকে ২২০০০ সৌদি রিয়াল পরিশোধ এবং বিমানের টিকেট প্রেরণের জন্য মেসার্স রুপসী বাংলা ওভারসীজকে ( আর এল ১১৬১) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা গেল।
উল্লেখ্য, “রূপসী বাংলা ওভার সীজ এর ব্যানারে সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতন ও যৌন হয়রানীর শিকার আশুলিয়ার সুমি আক্তার”- এই শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে তোলপাড় হলেও টনক নড়েনি রুপসী বাংলা ওভার সীজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। রাজধানী ঢাকার অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে আদম ব্যবসায়ীদের অফিস, সাব-অফিস। তাদের নিয়োগকৃত দালালেরা সামাজের অসহায় ও গরিব লোকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, তাদের মধ্যে রূপসী বাংলা ওভারসীজ অন্যতম