প্রবাস মেলা ডেস্ক: কবি ও সমাজসেবক মাহবুব নেওয়াজ চৌধুরী’র স্মরণ সভা ৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৬ টায় শাহবাগস্থ পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে (নীচতলা) অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় কবির বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাংখী সহ অসংখ্য ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী শারমিন মুরশিদ এর সভাপত্বিতে প্রবাস মেলা’র নির্বাহী সম্পাদক শহীদ রাজু এর সঞ্চালনায় স্মরণ সভার শুরুতে কবির আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে প্রয়াত কবি মাহবুব নেওয়াজ চৌধুরী’র ঘনিষ্টজনেরা তার স্মৃতিচারণা করেন, এসময় অনেকেই আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সংস্কৃতিপ্রিয় মাহবুব নেওয়াজ চৌধুরী’র স্মরণ সভায় উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণা করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সাবেক সচিব ও উপন্যাসিক মাসুদ আহমেদ।
বক্তারা বলেন, মাহবুব নেওয়াজ চৌধুরী ছিলেন সাহিত্যপ্রিয় একজন মানুষ। সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে তিনি আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন, তিনি ছিলেন সাদা মনের মানুষ, সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন, সম্ভ্রান্ত পরিবারের হয়েও তিনি খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করতেন। সাধারণভাবে বেঁচে থেকে তিনি মানুষের উপকারে আজীবন কাজ করে গেছেন। তার এই জীবন থেকে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে কবি’র স্মৃতিচারণ করেন বিশিষ্ট নাট্যঅভিনেতা পিযুষ বন্ধ্যোপাধ্যায়, কবি ও সাহিত্যসেবী আফরোজা জামিল কঙ্কা, ব্যারিসটার তানিয়া আমির, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, আবৃত্তিকার ও টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বপন কুমার দে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী, গণজাগরণ মঞ্চের একনিষ্ঠ এক্টিভিস্ট জাসদ নেতা আকরামুল হক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’র সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, সাংবাদিক এম. সাইফুল, অভিনেতা শহীদ আলমগীর।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কন্ঠের সহকারি সম্পাদক আলী হাবিব, চিত্রশিল্পী সৈয়দ গোলাম দস্তগীর, প্রগতিশীল ছাত্রনেতা জুয়েল ওহাব, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দীলিপ রায়, কবি ও সংগঠক মানষ বিশ্বাস, কবি রুহুল মাহবুব প্রমুখ।
প্রয়াত কবি’র স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি রোকেয়া ইউসুফ, শিমুল পারভীন ও গান পরিবেশন করেন কবি অভিলাষ। স্মরণ সভার সভাপতি শারমিন মুরশিদ এর সমাপনী বক্তব্যের পর আপ্যায়ণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।