মো: মেসবাহ উদ্দিন আলাল, ভেনিস, ইতালি প্রতিনিধি: যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া ত্যাগ করার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি এরকমই ৬৭ জন লোককে নিয়ে ইতালি উপকূলে ভিড়েছিল লিবিয়ান অভিবাসীদের একটি জাহাজ।
অভিবাসীদের নিয়ে বন্দরে ঢোকা কোস্টগার্ডের জাহাজটি পরিবহনমন্ত্রী দানিলো তোনিনেল্লির অনুমতি দিলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই জাহাজে থাকা উদ্ধারকৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ জাহাজ থেকে বন্দরে নামতে পারবেন না। এমনকি তিনি বলেছেন, তদন্তে যদি ওই অভিবাসীদের বিষয়ে খারাপ কিছু পাওয়া যায়, তাদেরকে ইতালির বন্দরে আনার পরিণাম ভুগতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
পরে প্রেসিডেন্ট মাতারেল্লা প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। জাহাজে আটকে থাকা ৬৭ জন উদ্ধারকৃত ব্যক্তিকে বন্দরে নামার অনুমতি দিতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তার অনুরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনড় অবস্থান সত্ত্বেও বন্দরে নামার সুযোগ পায় জাহাজে থাকা ওই অভিবাসীরা।
প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা অভিবাসীদের বন্দরে নামার পক্ষে ভূমিকা রাখায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনি। এ ব্যাপারে ফাইভ ষ্টার মুভমেন্ট দলের নেতা উপ-প্রধানমন্ত্রী লুইজি ডি মাইয়ো বলেন, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনির দল নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠিন ভূমিকা গ্রহণ করবেন তারা। নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢুকতে চাওয়া আফ্রিকার অধিবাসীরা অনেক সময়ই দুর্ঘটনায় পড়েন। তাদের বহনকারী নৌকাগুলো মাঝ সাগরে ডুবে গেলে তাদেরকে উদ্ধার করে ইতালির বন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয় প্রায়ই। কিন্তু নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এভাবে অভিবাসীদের উদ্ধার করে ইতালিতে নিয়ে আসার বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সাগর থেকে অভিবাসীদের উদ্ধার করার বিষয়ে তিনি বলেছেন, মানব পাচার বন্ধ করতে হবে। আর যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।