প্রবাস মেলা ডেস্ক: সম্প্রতি প্রবাস মেলা অফিস ভিজিটে এসেছিলেন ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার রিটকারীদের নেতা, সেই সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষে একটি জাতীয় দৈনিকে কোটা সংস্কারের পক্ষে শতাধিক রিপোর্ট করা আলোচিত সাংবাদিক, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাব এডিটর মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ পেশাদার সাংবাদিকদের বৃহত্তর সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের দু’বার নির্বাচিত ইসি সদস্য, কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)র সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির (রেজিস্টার্ড) যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাবি সমাজকল্যাণ এলামনাই ফোরামের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। সম্প্রতি তিনি আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার নির্বাচিত হন।
তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মরহুম ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার ও মিসেস নহিজা বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। বুড়িচং উপজেলার জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বুড়িচং সদরে অবস্থিত আল-হেরা মডার্ণ একাডেমি ও সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এই সাংবাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম স্থানসহ পিজিডি (মাস্টার্স সমমান) ডিগ্রিসহ ত্রিপল মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
২০০৫ সালে ডাকসুর সাবেক ভিপি মরহুম ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী সম্পাদিত দৈনিক দেশবাংলায় যোগদানের মধ্য দিয়ে ঢাকায় তার সাংবাদিকতা শুরু হয়। এর আগে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের বুড়িচং প্রতিনিধি হিসেবে ও দৈনিক রূপসী বাংলা, সাপ্তাহিক আমোদ ও সীমান্ত সংবাদে লেখালেখি করেন। ইত্তেফাক, সমকাল, যুগান্তর, নয়াদিগন্ত, আমার দেশ, কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সমসাময়িক বিষয়ে তার অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ‘জীবন গঠনে শিক্ষা’ সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবেও তার ও তার কর্মস্থল দৈনিক ইনকিলাবের ভূমিকা ও অবদান অসামান্য। চরম ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন দেয়াল রাঙিয়েছিল, তখন তিনিও দিন রাত এক করে রাঙিয়েছেন ইনকিলাবের পাতা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার হিসেবে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। যেহেতু কোটা সংস্কার আন্দোলনের পথ ধরেই জুলাই বিপ্লব, সেহেতু তার ঝুঁকিপূর্ণ ও কণ্টকাকীর্ণ অবদানের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৫৬% কোটার কারণে বিসিএসে বঞ্চিত এই সাংবাদিককে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান সংশ্লিষ্টরা।