প্রবাস মেলা ডেস্ক: ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার রাতে প্রবাস মেলা অফিসে অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো: শহিদুল হাসান। এসময় তিনি প্রবাস মেলা কলাকুশীলদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রকৌশলী মো: শহিদুল হাসান ১৯৭৫ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) চুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (IWTA) তে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে ফরিদপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্ত কর্মসূচী’র (এলজিইডি এর পূর্বসূরী) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন।
জনাব শহিদুল হাসান এরপর ১৯৮৯ সালে ঢাকা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরোর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরোর সদর দপ্তরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। তারপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে অবসর নেন।
বিশিষ্ট এই প্রকৌশলী আমেরিকা ও ইংল্যান্ড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। চাকরি জীবনে তিনি প্রশিক্ষণ সহ নানা প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন।
এক কন্যা সন্তানের জনক প্রকৌশলী মো: শহিদুল হাসান অবসর জীবনে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক এবং সমাজসেবামূলক ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত রয়েছেন।
তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল- প্রকৌশলী শহিদুল হাসান বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পরিচালনা পরিষদের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি পরিচালিত রিহ্যাবিলিটেশন এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী আরবিটিসির পরিচালনা পরিষদের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান, ইব্রাহীম কার্ডিয়াফ হসপিটাল রিসার্চ ইন্সিটিটিউশন পরিচালনা পরিষদের সদস্য, ইন্সিটিটিউশন অব হেলথ সাইন্স দারুস সালাম, মিরপুর এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনাশীপ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, ফরিদপুরে অবস্থিত এতিম এবং ছিন্নমূল ছেলে-মেয়েদের লালন-পালন এবং তাদের কারিগরি এবং সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর মুসলিস মিশনের পরচিালনা পরিষদের আজীবন সভাপতি, বিএনএসবি জহুরুল হক চক্ষু হসপিটালের পরিচালনা পরিষদের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সহ অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছেন।
প্রবাস মেলা অফিসে তিনি পত্রিকার কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, সাফল্য সম্ভাবনা তুলে ধরে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন।
শেষে বিশিষ্ট এই প্রকৌশলী পত্রিকার কলাকুশীলদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন।