হাসিনা আক্তার, লন্ডন, যুক্তরাজ্য: ব্যবসার সফলতার পেছনে থাকে অনেক উত্থান পতন। অর্থ, ধৈর্য্য,পরিশ্রমের মাধ্যমের একটি ব্যবসায় সফলতা বয়ে আনা সম্ভব হয়। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলা উদ্যোগতাদের ঝুঁকি ঝামেলা আরো অনেক বেশি। বাংলাদেশিরা দেশীয় গন্ডি পেড়িয়ে ব্যাপকভাবে প্রবাসে গড়ে তুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বিট্রিশ বাংলাদেশি মহিলারাও। তারাও ধীরে ধীরে বিউটি পার্লার , বুটিক্সসহ গড়ে তুলেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা । সেই রকমই একটি হচ্ছে ‘দেশী বুটিকস’।
উম্মে বেলী মাত্র কয়েক বছর হলো দেশের গন্ডি পেরিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর বিলেতে। দেশের মায়া কাটিয়ে প্রবাস জীবনে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগে যায় বেশ কয়েক বছর। উম্মে বেলী যিনি এই প্রতিকূলতার রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা মাথায় রেখে শুরু করলেন দেশীয় কাপড়ের ব্যবসা-যার নাম দিয়েছেন ‘দেশী বুটিক’।
দেশী বুটিক নামে প্রায় ৪ বছর আগে উম্মে বেলী শুরু করলেন অনলাইন ব্যবসা । এতে মসলিন, জামদানি সহ পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের শাড়ী, থ্রী পিস এবং পান্জাবী সহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় কাপড়। সবসময় রকমারী নতুন নতন ডিজাইনের কালেশন পাবেন দেশী বুটিকে , বিশেষ করে প্রবাসে বসে আধুনিক ডিজাইনের মসলিন শাড়ি পেতে আপনি নিশ্চন্তে পেতে পারেন দেশী বুটিক। দেশী বুটিক তাদের সততা, বিশ্বস্ততার এবং সঠিক সময়ে ডেলিভেরির মাধ্যমে খুব অল্প দিনে সাড়া জাগিয়েছে ব্যপকভাবে, লন্ডনের বাজার ছাড়িয়ে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে সমগ্র ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই বছরে শোরুম করলেন পূর্ব লন্ডনে শপিং এর জন্য বিখ্যাত গ্রীনস্ট্রীটের প্রাণকেন্দ্রে।ডামিনিস শপিং মলের নীচতলায় গড়ে উঠা দেশী বুটিকের শোরুম এ প্রতিদিনই দেখা যায় ব্যাপক ক্রেতার সমাহার। বিশেষ করে দুই ঈদে ছিল ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়। গ্রীনস্ট্রীটে সাধারণত ভারত এবং পাকিস্তান থেকে আসা ঝলমলে কাপড়ের সমারোহই বেশী চোখে পড়ে , এমনকি ভারতীয় সিনেমায় এবং টিভি সিরিয়ালে অভিনয় শিল্পীদের পরিহিত কাপড় বেশ লক্ষ্যণীয় গ্রীনস্ট্রীটের শপগুলোতে। এইসব ঝলমলে কাপড়কে ম্লান করে উজ্জল নক্ষত্রের মতো জায়গা করে নিয়েছে উম্মে বেলীর দেশী বুটিক।
প্রবাসের জীবন বাংলাদেশের জীবনের মত সহজলভ্য নয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। এতোটা কঠিন জীবনযাত্রার মাঝে থেকেও দেশী বুটিকের স্বতাধীকারী উমে বেলী নিজস্ব অর্থ বিনিয়োগ করে এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং পূর্ব লন্ডেনের মানুষের মনে একটি বিশ্বসততা এবং জনপ্রিয়তার জায়গা দখল করে নিয়েছেন। তিনি দেশী বুটিকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবার সহযোগীতা এবং দোয়া কামনা করেছেন।