প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “পাহাড় জলে পর্যটন, রাঙামাটি সুন্দরবন” স্লোগানকে সামনে রেখে ১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে “CHT Tourism Award প্রচলন-২” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন, নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটনশিল্পে রাজনৈতিক সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দৈনিক রাঙামাটি এবং সুন্দরবন পর্যটন ক্লাব।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদীপ চাকমা, মাননীয় উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত) এর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ মূহুর্তে বিশেষ কাজে উপস্থিত হতে পারেন নি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (গ্রেড-১) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণাল, মো. তরিকুল আলম মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আনোয়ার হোসন খান (বীর মুক্তিযোদ্ধা) মুক্তিযুদ্ধকালীন পলিটিক্যাল এ্যাডভাইজর আলানীক্যাম্প (ভারত), বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম পুলিশ সুপার (প্লানিং এন্ড অপারেশন) ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা, দিদারুল আফসার দিদার পরিচালক, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়ার) সিইও, বাংলাদেশ ইকোট্যুরস, কুদরাত ই খুদা, সিনিয়র সাংবাদিক, জনপ্রশাসন ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, জনাব সাখাওয়াত হোসেন রুবেল সভাপতি- রাঙামাটি প্রেসক্লাব রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক পূর্বকোন, জনাব হিমাদ্রি বড়ুয়া, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন, আনোয়ার আল হক সম্পাদক, দৈনিক রাঙামাটি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন- বাংলাদেশের বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটনস্থলগুলোর উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা উচিত, যাতে তা বিশ্বমানের সুবিধা প্রদান করতে পারে। টেকসই পর্যটনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশের ওপর প্রভাব কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রচারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে বিকশিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক মার্কেটিং ও প্রচারাভিযান শক্তিশালী করতে হবে। পর্যটন শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা জরুরি।
শ্রম অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত হিসেবে কক্সবাজারের বালুকাময় সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র। এর বিস্তৃত সোনালি বালুকারাশি, বিশাল সমুদ্রের ঢেউ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর অনন্যতা প্রকাশ করে। কক্সবাজার ছাড়াও মহেশখালী, কুয়াকাটা এবং সেন্টমার্টিনের সমুদ্র সৈকতও বিশেষ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের এই সমুদ্র সৈকতগুলো বিশ্বের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর, যেখানে প্রকৃতি, শান্ত পরিবেশ এবং মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কক্সবাজারকে ইনানী হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত সংস্কার করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ (প্লানিং এন্ড অপারেশন) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন- পর্যটনশিল্পের উন্নতির জন্য পর্যটকদের সচেতনতা এবং স্থানীয়দের সাথে ভালো আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটকদের উচিত স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। যদি পর্যটকরা স্থানীয় ভাষা, খাদ্য এবং রীতিনীতির প্রতি আগ্রহী হন এবং তাদের আচরণে সচেতন থাকেন, তবে এটি স্থানীয় জনগণের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে এবং সংস্কৃতির সঠিক পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, স্থানীয়দেরও পর্যটকদের সাথে ভালো আচরণ করা প্রয়োজন, কারণ অতিথিদের প্রতি সদয় ও সহানুভূতির মনোভাব পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে। স্থানীয়রা যদি তাদের অতিথিদের স্বাগতম জানান এবং তাদের স্থানীয় ঐতিহ্য ও প্রকৃতির গুরুত্ব বোঝান, তবে এটি পর্যটন শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠা ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।