জিতা লাহিড়ী, খড়দহ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে: ১০ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদহ কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পার্বত্য কাব্য কলকাতা সাহিত্য উৎসব। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি বিশ্বের বিশিষ্ট কবি শ্রী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, উদ্বোধক হিসেবে কবি শ্রী বরুন চক্রবর্তী, বিশেষ সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বক্তা চিকিৎসক এবং বাঙালিবাদী শ্রী পার্থ সারথী মুখোপাধ্যায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রী পিনাকী বসু মহাশয় এবং বিখ্যাত সাহিত্যিক শ্রী তাপস সাহা। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এবং গবেষক শ্রীমতি দিপা দাস মহাশয়া। এছাড়াও বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রী সাকিল আহমেদ মহাশয়, শ্রীমতি মুকুল চক্রবর্তী, সুদূর দিল্লি নয়ডা থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি ডালিয়া মুখার্জি, শ্রীমতি দীপশিখা চৌধুরী, শ্রীমতি রিতা পাকড়াশী, শ্রীমতি শিখা রায়, শ্রীমতি পুষ্পিতা চট্টোপাধ্যায়, সংগীতশিল্পী পুষ্পিতা গুহ শ্রীমতি নিতা মুখার্জি। শ্রীমতি অর্চনা দে বিশ্বাস ও বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রাজীব সরকার, শ্রী বিন্দাস ভার্গব, শ্রী জয়দেব চক্রবর্তী, আবদুস সুকুর আলি মোল্লিক।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়। হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের দুটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা এবং কোরআন পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা প্রেরণ করা হয়। কলকাতার বিশিষ্ট গণ্যমান্য কবি এবং সাহিত্যিকগণ অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন, পরিবেশিত হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য কাব্য কলকাতার সকল সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালনা করেন পার্বত্য কাব্য পরিচালক মন্ডলীর সদস্য কবি শ্রীমতি সম্পা চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শ্রীমতি জিতা লাহিড়ী। পার্বত্য কাব্য কলকাতা উৎসবের আহ্বায়ক হিসেবে উনি বলেন- ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মন্ধ সুদৃঢ় করতে সাহিত্য সংগঠনগুলি বিশেষভাবে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করছে। পার্বত্য কাব্য তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি সংস্থা যারা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত থাকে।
সুদূর পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটিতে ২০১৭ সালে যে পার্বত্য কাব্যের সূচনা হয়, তার কলকাতা শাখার সপ্তম বর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য কাব্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী রেজাউল করিম সুদূর বাংলাদেশে বসে অনুষ্ঠানটির তত্ত্বাবধান করেন। বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক এবং গুণীজনদের সমারোহে ১০ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হল উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।