প্রবাস মেলা ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার সকালের দিকে জেলার দত্তপুকুর এলাকায় ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। দেশটির ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, ওই এলাকার কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায় সকাল ১০টা ৪০মিনিটের দিকে একটি দোতলা বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই বাড়িতে একটি আতশবাজির অবৈধ কারখানা ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও দত্তপুকুর এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় সাত বা আটজন মারা গেছেন এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন, সাত বা আটজন মারা গেছেন এবং পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল। এখানে আতশবাজি তৈরি করা হতো না। এর প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ছিল নীলগঞ্জের নারায়ণপুর এলাকায়। যা এখান থেকে অনেক দূরে। পুলিশ নারায়ণপুরের সব আতশবাজির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি একই ধরনের কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে রাজ্যের মেদিনীপুর জেলার এগ্রা এলাকায় একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন নারী ছিলেন। এছাড়া একই মাসে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নোদাখালি এলাকার মোহনপুর গ্রামের একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত ও দুজন আহত হন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।