রনি মোহাম্মদ,লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালের লিসবনে বসবাসরত ৮ প্রবাসী বাংলাদেশির রক্ত পরীক্ষার পর ২ এপ্রিল, ২০২০ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ৫ জনের কভিড-১৯ পজিটিভ এমনটি নিশ্চিত করেন লিসবনের স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে বাকি ৩ জনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে তাদের ব্যপারে।বর্তমানে আক্রান্তদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিসবন কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক জহিরুল আলম জসিম আক্রান্তদের নিয়ে বলেন, আক্রান্ত আটজনই সবাই একই বাসায় বসবাস করতেন। তবে এর মাঝে আক্রান্ত হওয়া পাঁচ জনের একজন সদ্য সুইজারল্যান্ড থেকে এসেছেন। সেই সাথে তিনি আক্রান্তদের ব্যপারে লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মহাদয়কে অবহিত করেন। তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক নয় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।কমিউনিটির মাঝে সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে হবে।
পর্তুগালে জরুরী অবস্থা সহ সরকারের নানামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও কোনোভাবেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সেই সাথে বাড়ছে মরণঘাতক করোনাভাইরাসের মৃত্যু এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মহামারি করোনাভাইরাসে পর্তুগালে ২ এপ্রিল, ২০২০ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০৯ জনের মৃত্যু, ৯০৩৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয় সহ ২৪০ জন রোগীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএস)। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরার তালিকায় এখন পর্যন্ত ৬৮জন। সেই সাথে ৪৯৫৮ জন সন্দেহভাজনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যার ফলাফল যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সারা দেশে ৬৬৮৯৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানায় পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএস)।