রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। চলমান কোভিড-১৯ এর মহামারির কারণে পর্তুগিজ সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে দূতাবাস এ বছর এ কর্মসূচী আয়োজন করেছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা করেন।

পরবর্তীতে পর্তুগাল সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সকল শিশু কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে আর প্রগতিশীল মূল্যবোধের অগ্রায়নে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী এবং জাতি হিসাবে মেধা ও মননে পরিপূর্ণ রূপে বিকশিত হতে পারছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাস পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দুটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং বিজয়ীদের পুরুস্কার এবং সকল প্রতিযোগীকে সনদপত্র প্রদান করেন। পরে দূতাবাসে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত কবিতা আবৃত্তি করা হয় ও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়।