রনি মোহাম্মদ, লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, পর্তুগাল। ১৭ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় লিসবনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কুরআন ও অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ্যসূচী মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতার, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে কারাগারে নিহত চার জাতীয় নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের নিহত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও প্রথম সচীব মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদের সঞ্চালনায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশনেন প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধা পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরও গতিশীলতা লাভ করে এবং সেক্ষেত্রে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ ও জাতির পিতার সুরক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী মতামত সৃষ্টি করে যাতে পাকিস্তান বাংলাদেশের জনগণ ও জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০২১’ এবং ‘ভিশন ২০৪১’ অর্জনের প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূত জোর দিয়েছিলেন।
আলোচনা সভার শেষে জাতির জনক, তার পরিবারের সদস্য, চার জাতীয় নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।