রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: গত ১০ মার্চ, ২০২০পর্তুগালে তৃতীয় দফায় আগামী ১ মে ২০২০পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি তার নিজ অধ্যাদেশে। জরুরি অবস্থাসহ সরকারের নানামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে পর্তুগালে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও থামছে না মহামারি কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের আক্রান্তর ও মৃতের সংখ্যা।

মহামারি করোনাভাইরাসে পর্তুগালে ১৩ এপ্রিল, ২০২০ সোমবার পর্যন্ত মোট ৫৩৫ জনের মৃত্যু এবং ১৬ হাজার ৯৩৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএস)। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরার তালিকায় রয়েছে ২৭৭ জন। সেই সাথে ৩২৬৪ জন সন্দেহভাজনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে তাদের ব্যপারে, তবে এই মুহূর্তে সারা দেশে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৬ জনকে কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিকে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাঙ্গালী অধ্যুষিত মাতৃমনিজ এলাকার রুয়া দো বেনফরমোসোতে ১৩এপ্রিল, ২০২০ সোমবার ৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশির কোভিড-১৯ পজিটিভ সহ এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ বলে নিশ্চিত করেন লিসবনের স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে ১৩ জনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে তাদের ব্যপারে জানানো হবে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

এদিকে লিসবন দূতাবাসের তৃতীয় সচীব ও দূতাবাস প্রধান আবদুল্লা আল রাজি জানান, এমন পরিস্থিতিতে ‘আতঙ্ক নয়’ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে কমিউনিটির মাঝে। সেই সাথে পর্তুগালের প্রবাসী বাংলাদেশীদের জরুরী খাদ্য সহায়তা সহ কারো মাঝে ‘কোভিড-১৯’ সময়ে (আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার আশে পাশের ব্যক্তিবর্গ) আবাসনের অসুবিধা হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে ‘কোভিড -১৯’ সংক্রান্ত হটলাইন – ৯২০ ৫২৬ ৫৬৩ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।