রনি মোহাম্মদ, লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশি সহ নানান দেশের অভিবাসীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পালিত হলো ৪৫তম স্বাধীনতা ও বিপ্লবী দিবস। ১৯০১ সালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর পর্তুগালের জনগণের মনে আশা ছিল রাষ্ট্রে মানুষের সমঅধিকার চালু হবে, কিন্তু সেই আলোর মুখ দেখে নাই পর্তুগালের সাধারন মানুষ। ঠিক সেই সময় আবারও আন্তোনিও সালাজার রাষ্ট্রে পরিচালনার আসনে এসে চালু করে একনায়কতন্ত্র শাসন (১৯৩২ – ১৯৬৮) আর এই এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার এর বিরুধ্যে তৎকালীন একদল সেনার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালে ২৫ এপ্রিল পর্তুগালে প্রতিষ্ঠা হয় বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর এই এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে চালু হওয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পর্তুগালের জনগণ পালন করে থাকে তাদের স্বাধীনতা ও বিপ্লবী দিবস।
নানা ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিনটিকে পর্তুগীজরা পালন করে থাকে। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আয়োজিত স্বাধীনতা ও বিপ্লবী দিবসের রেলিতে অংশ নেয় পর্তুগালের সকল শ্রেণী পেশাজীবি, শিশু কিশোর, যুবক থেকে বৃদ্ধ সহ সকল রাজনৈতিক, মানবাধিকার এবং সামাজিক সংগঠন সহ প্রায় শতাধিক সংগঠন ও পর্তুগাল বসবাসরত বিভন্ন দেশের প্রবাসীরা।
এই দিনে সকল সংগঠন তাদের দাবী রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরে। তার ব্যাতিক্রম নয় বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও। সকলের জন্য কাজ ও বর্ণ বৈষম্য দূর করে অভিবাসনের আইন সহজ করে সকলের জন্য সুন্দর একটি সমাজ গঠনের দাবী জানায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা।