রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালের ক্ষমতাসীন দল সোশ্যালিস্ট পার্টির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেয় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ১২ জনের প্রতিনিধি দল। ১৯৭৩ সালের ১৯ এপ্রিলে জার্মানির ব্যাড মুনস্টারেইফেল শহরে ডঃ মারিও সোয়ার্স এর নেতৃত্বে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে একদল পর্তুগীজ স্বাধীনতাকামী মানুষ পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টি গঠন করেন। এই সোশ্যালিস্ট পার্টির বিভিন্ন দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল একনায়কতন্ত্রকে হটিয়ে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আর তাই ২৫ এপ্রিল পর্তুগালের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২২ এপ্রিল সোমবার পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রায় ২০০০ মানুষের নৈশভোজের মধ্য দিয়ে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নেন পার্টির সেক্রেটারি ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ডঃ আন্তনিয় কোস্টা, মেয়র ডঃ ফারনান্দো মেদিনা, মন্ত্রী পরিষদ, দলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, দলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, প্রধান মন্ত্রী, স্পীকার প্রমুখ।

আগামী ২৬ মে ২০১৯ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি, কেবিনেট মন্ত্রী এবং একজন ফাউন্ডার সদস্য দীর্ঘ ৪৬ বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তাছাড়াও সোশ্যালিস্ট পার্টিকে কেন ভোট দিয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে তার ব্যাখ্যা করেন। সেই সাথে ইমিগ্রান্টদের জন্য পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টির দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা এবং অবদানের কথা বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সোশ্যালিস্ট পার্টির স্থানীয় নেতা এবং লিসবন সিটি কাউন্সিলর জনাব রানা তসলিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ১২ জনের প্রতিনিধি দল উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার সোশ্যালিস্ট পার্টির সেক্রেটারি, লিসবন মহানগরীর প্রেসিডেন্ট ও লিসবনের মেয়র সহ অনেকেই অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।