রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালের প্রাচীন রাজধানী বন্দর নগরী পোর্তোয় নানা আয়োজনে একুশ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তো। বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তো, পর্তুগিজ ইস্পাসো টি অ্যাসোসিয়েশন ও পর্তুগিজ সরকারের সহযোগিতায় যৌথভাবে এবারের একুশের আয়োজনে ছিলো ভিন্ন মাত্রা।
প্রথম পর্বে, স্থানীয় সময় রাত ৮টায় পোর্তোর স্থায়ী শহীদ মিনারে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর নেতৃবৃন্দ, পর্তুগালের ইমিগ্রেশন হাইকমিশনার পেদ্রো কালাদো, পর্তুগিজ স্যোসালিষ্ট পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ডঃ ম্যানুয়েল পিজারো, জয়ন্তার প্রেসিডেন্ট এন্তোনিও ফনসেকা, পোর্তো ইউনিভার্সিটি, ভারত, চীনের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, অলইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সহ পোর্তো শহরের স্থানীয় রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর পর রাত ৯.০০ মিনিটে দ্বিতীয় পর্বে পোর্তো শহরের বিখ্যাত কলিসেও পোর্তো অ্যাজেয়াস অডিটোরিয়ামে একুশের বিশেষ আলোচনা ও নৈশভোজের আয়োজন ছিল। পর্তুগালের জনপ্রিয় টিভি সাংবাদিক হেলদ্যার রেইসের এবং প্রবাসী তন্নী আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদ এবং ঢাকার চকবাজারে দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে আগুনে পুড়ে নিহতদের জন্যে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইস্পাসোর সভাপতি জর্জ অলিভেইরা এবং শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম। পর্তুগিজ-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। সমাপনী বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল।
মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এবারের অনুষ্ঠানে পর্তুগালের ৮ জন বিশেষ নাগরিক পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কস্তা, পোর্তো সিটি মেয়র রুই মোরেইরা, পর্তুগালের ইমিগ্রেশন হাই কমিশনার পেদ্রো কালাদো, পর্তুগালের হয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয়ী ক্রীড়াবিদ, পর্তুগালের সরকারি টিভিতে কর্মরত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রিফিউজি সংস্থার প্রধান সহ মোট ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এই বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে নৈশ্যভোজের পর পর্তুগাল প্রবাসী ঝর্নার দেশীয় নৃত্য এবং পর্তুগিজ আফ্রিকান শিল্পীদের অংশগ্রহণে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।