রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালপ্রবাসী কবি শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার মোরশেদ কমলের ৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশান পর্তুগালের লিসবনে এক আলোচনা সভা ও নৈশভোজের আয়োজন করে। লিসবনের স্থানীয় “রেই দি ইন্ডিয়া” রেস্টুরেন্টে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার সন্ধ্যায় উক্ত আয়োজনে পর্তুগালে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রবাসী সৃজনশীল লোকেদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। আগত অতিথিগণ কবির নিজস্ব রচিত কবিতা সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় লেখকের কবিতা আবৃতি করেন।
মোরশেদ কমল বাংলাদেশের শিশু সাহিত্যের পরিচিত মুখ। বাংলাদেশের মূলধারার পত্র পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। মূলত ছড়া দিয়ে শুরু। পরে গল্প, রম্যকথা এবং কবিতা রচনায় সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তার প্রথম ছাড়ার বই ‘টাকার কুমির’ বের হলে, তা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। পরে একে একে তার বের হয়েছে ১৩ টির অধিক গ্রন্থ। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকেও ‘লাল নীল পদ্য’ ও ‘মনে মনে খেলা’ নামের দুইটি ছড়ার গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
কবি মোরশেদ কমলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সরদার আহমেদ রায়হানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রানা তসলিম উদ্দিন। কবি মোরশেদ কমলের ২০ বছরের বর্ণাঢ্য পর্তুগালের প্রবাস জীবন নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন কমিউনিটির প্রবীন ব্যক্তি অলিউর রহমান, লিয়াজ উদ্দিন, সোহেব মিয়া, শাহীন সায়ীদ, আব্দুল মান্নান, আবুল বাশার বাদশাহ, হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর, আরজু মিয়া, হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ কবি মোরশেদ কমল ১৯৬৯ সালের ৩১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার লালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে পর্তুগাল প্রবাসী হয়েও লেখার ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে লেখার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন শিশু-সাহিত্য কাজী কাদের নওয়াজ স্বর্ণপদক। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিজস্ব গীতিকার ও অভিনয় শিল্পী হিসাবেও কাজ করছেন।
পর্তুগালে শিশু সাহিত্যিক কবি মোরশেদ কমলের জন্মবার্ষিকী পালিত। অনুষ্ঠানের শেষে কবি মোরশেদ কমলকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার দেওয়া হয় কমিউনিটি পক্ষ থেকে ।