বিশ্বনাথ, সিলেট, প্রতিনিধি: পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পদক্ষেপ নিতে সিলেট লেখক ফোরামের উদ্যোগে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন সিলেট লেখক ফোরামের উপদেষ্টা, বন ও পরিবেশ কমিটি সিলেট এর সদস্য, প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ট বৃক্ষপ্রেমিক আফতাব চৌধুরী, সিলেট লেখক ফোরাম সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল, সদস্য এডভোকেট আ.ফ.ম. জামাল উদ্দিন, এডভোকেট মাইদুল ইসলাম ফাহাদসহ বিশিষ্টজনরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী রাস্তা লিজ নিয়ে বিভিন্ন সমিতি বা সংস্থা বৃক্ষরোপন করে যাচ্ছে। রোডের উভয় পার্শ্বে বৃক্ষরোপনের জন্য লিখিত চুক্তিপত্রে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ রোপনের জন্য আনুপাতিক একটি হার নির্ধারন করে দেয়া হয়। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে এসব নীতিমালা কোন সমিতি বা সংস্থা অতীতেও মানেনি বর্তমানেও মানছেনা। বরং কম সময়ে বেশি লাভের আশায় বনজ গাছই রোপন করা হচ্ছে। এসব বনজ গাছের মধ্যে আবার বেশিরভাগ গাছই বিদেশী জাতের এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিক্ষর। অনেক গাছ এতই বিষাক্ত যে এসব গাছে পাখি পর্যন্ত বসেনা। আবার অনেক বিদেশী জাতের বনজ গাছ খুব বেশি পানি শোষন করে মাটির উর্বরাশক্তি ও পরিবেশ নষ্ট করছে।
এছাড়া অনেক বিদেশী জাতের বনজ গাছের ডালপালা রোডের পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের জমির ফসলও নষ্ট করছে। লিজ গ্রহীতা বিভিন্ন সমিতি বা সংস্থার সদস্যরা সংঘবদ্ধ ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে নীরিহ কৃষকেরা বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসলেও প্রতিবাদ করতে বা মুখ খুলতে সাহস পায়না। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির গাছ গাছালি। এসব বিদেশী বিষাক্ত গাছের প্রভাবে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই। পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া ও জলবায়ূর। ঋতু পরিবর্তনের সাথে আবহাওয়ার মিল চোখে পড়ছেনা। গত ক’বছরে বজ্রপাত বেড়ে গেছে আশংকাজনকহারে। বজ্রপাত ও আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে প্রাণহানি ঘটছে অগণিত মানুষের। স্মারকলিপিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।