(সদ্য প্রয়াত রহিম ভাই এর স্মরণে) 
শ্যামল কর্মকার:
শিশুরা যখন হেসে ওঠে
তখন নক্ষত্রের উজ্জ্বল আলোর মত
সদ্য ফোটা ফুলের পাঁপড়ির মত
উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে ওদের দুই ঠোঁটে
শৈশব কৈশোর পেরিয়ে পরিনত বয়সে সে হাসি হয়ে যায় ক্রমশ অসুন্দর কৃত্রিম
এমন কিছু গুণি মানুষ আছে এ পৃথিবীতে যাদের হাসি
চির অকৃত্রিম অনিন্দ্য অমলিন অব্যয়
সে হাসিতে শুধু মুক্তোই ঝরে না হাসির বন্যায় ভেসে যায়
মন খারাপের মেঘ – হয় আলোর অভ্যূদয়।
আমার চেনা জানা মানুষের ভিড়ে কিছু মানুষ হয়ে ওঠে
পরম বন্ধু অতি প্রিয় আত্মার আত্মীয়
এমনই এক প্রিয়জন সদ্য প্রয়াত আব্দুর রহিম
আমাদের প্রিয় রহিম ভাই যার মুখাবয়ব এক স্নিগ্ধ ভোরের মত অমিত দীপ্তময়
যিনি ছিলেন আশির দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এক অনন্য অগ্রসৈনিক অতন্দ্র প্রহরী
ছিলেন মানবিক মানুষ শিশুদের বিকাশের জন্য
যিনি নিজ শেকড়ে গড়ে তুলেছিলেন – মনমেলা।
কে বলে তিনি নেই?
এমন নিস্পাপ মুখাবয়বের একজন আব্দুর রহিমের
কখনো মৃত্যু হয়না
দীপশিখা যেমন নি:শেষ হয়না আলো ছড়িয়ে দিতে
রহিম ভাই তেমনই আছেন থেকে যাবেন হৃদয়ের গভীরে
আমাদের মননে রক্তপ্রবাহে শিরায় ধমনীতে।