জুলি রহমান
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
বোধিবৃক্ষতলে দেবম রজনী
একা সে গভীর ধ্যানে খোলে রসায়ন;
দৈহিক পাখি ভেতরে তর্পায় বুনট খাঁচায়
প্রিয় মানুষেরা শোনো খোলো বাতায়ন।
একটি গরাদে আলোময় জানালায়,
সুবাতাস আসে যায় কে রাখে খুঁজ তাঁর?
অহমের ভারে যারা বন্দী তারাই বানায় গল্প,
হিংসার জারক রসে কী নিদারুন লজ্জা!
বিধৃত বুকে নেই বাঁধার প্রাচীর গিলাফহীন
তবুও ভুলের স্বাধীনতায় ব্যাঙ্গসূত্রের ঢেউ?
কী অর্বাচীন! কী অর্বাচীন! আহা মরি!
রম্যতা কল্পনা ফুলের পরাগে জমাট নয়।
রঙের দ্যোতনা কী ছড়ায় রাতারাতি?
মেধা প্রজ্ঞা ক্ষান্ত হোক উর্বশী যামিনী
বিভাবরী জাগরণে চূর্ণ ঘর দেহ হয়,
অংগ সোনা সরোদ চিত্রে এইতো বিশ্বাস!
এখন রুপালি রৌদ্রে পোড়ে যাক প্রাণ।
ফাগুন, মাঘ কিংবা যে দিন মাস ক্ষণ
ও কিছু নয়! এ শহর কবিতা বুঝেনা
নাদান মূর্খ কপট পাশে জ্যোর্তিময় রাত।