প্রবাস মেলা ডেস্ক: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্য আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্থানীয় সময় ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার নিকারাগুয়াস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ওর্তেগা শাসনামলের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার ওপর হামলা এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর দমন-পীড়নকে সমর্থন করায় নিকারাগুয়ার ১০০ জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বিবৃতিতে আরও লেখা রয়েছে, এখন পর্যন্ত আমরা ১ হাজারের বেশি নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের জন্য ভিসার যোগ্যতা সীমিত করেছি। যাদের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বাধীন কণ্ঠস্বর দমন এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা রয়েছে। যারা দমন-পীড়নে জড়িত এবং তাদের দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন তাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে ভ্রমণের আশা করা উচিত নয়।
বিশপ রোল্যান্ডো আলভারেজসহ অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য নিকারাগুয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ফের আহ্বান করছি। নিকারাগুয়ায় গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের জন্য জবাবদিহিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নিকারাগুয়ান জনগণের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ও নিকারাগুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বহুদিন ধরে ওর্তেগা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে।
এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওর্তেগার স্ত্রী রোসারিও মুরিলো, তাদের তিন সন্তান এবং সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।